পাবনা জেলার পরিচিতি
পাবনা জেলা বাংলাদেশের মধ্য ভাগের একটি জেলা ও প্রশাসনিক অঞ্চল। উপজেলার সংখ্যানুসারে পাবনা বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণিভুক্ত জেলা। এই জেলার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে ইছামতি নদ। এই জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায় ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ সেতু এবং তার পাশেই লালন শাহ সেতু অবস্থিত। এই জেলার কয়েকটি নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা সরকারি মহিলা কলেজ, পাবনা ক্যাডেট কলেজ,সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজ, পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, পাবনা জেলা স্কুল ইত্যাদি। এছাড়া পাবনার সরকারি মানসিক হাসপাতাল জেলার একটি ঐতিহাসিক হাসপাতাল। এই জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায় গড়ে তোলা হয়েছে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যেটি পদ্মা নদীর পাশেই অবস্থিত।
নামকরণ
নামকরণের ইতিহাস নিয়ে বিভিন্ন মতবাদ আছে। প্রত্নতাত্ত্বিক কানিংহাম অনুমান করেন যে, প্রাচীন রাজ্য পুন্ড্র বা পুন্ড্রবর্ধনের নাম থেকে পাবনা নামের উদ্ভব হয়েছে। পৌন্ড্রবর্ধনের জনপদ গঙ্গার উত্তর দিকে অবস্থিত ছিল। চলতি ভাষায় পুন্ড্রুবর্ধন বা পৌন্ড্রবর্ধন, পোনবর্ধন বা পোবাবর্ধনরূপে উচ্চারিত হতে হতে ‘পাবনা’ হয়েছে।
কিছু ইতিহাসবিদের মতে, ‘পাবনা’ নামটি ‘পদুম্বা’ থেকে এসেছে। কালক্রমে পদুম্বা শব্দটির স্বরসঙ্গতি হয়ে ‘পাবনা’ হয়েছে। ‘পদুম্বা’ জনপদের প্রথম ঐতিহাসিক প্রমাণ পাওয়া যায় খ্রিস্টীয় একাদশ শতকে পাল নৃপতি রামপালের শাসনকাল থেকে। ইতিহাসে উল্লিখিত, রামপাল তার হৃতসাম্রাজ্য বরেন্দ্র কৈবর্ত শাসকদের থেকে পুনরুদ্ধারের করার জন্য ১৪ জন সাহায্যকারীর শরণাপন্ন হয়েছিলেন। তাদেরই একজন ছিলেন জনৈক সামন্তরাজা পদুম্বার সোম। অন্য একটি সূত্রে জানা যায়, পৌন্ড্রবর্ধন থেকে ‘পাবনা’ নামের উৎপত্তি হয়েছে।
এছাড়া পাবনা নামকরণ নিয়ে কারও মতে, ‘পাবন’ বা ‘পাবনা’ নামে একজন দস্যুর আড্ডাস্থল থেকেই একসময় ‘পাবনা’ নামের উদ্ভব হয়। এছাড়াও গঙ্গার পাবনী নামের একটি নদীর মিলিত স্রোতধারার নামানুসারে ‘পাবনা’ নামের উৎপত্তি হয়েছে বলেও অনেকে মনে করেন।
জেলার ইতিহাস
১৮২৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ অক্টোবর স্বতন্ত্র জেলা হিসেবে পাবনা স্বীকৃতি লাভ করে। ১৭৯০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে জেলার বেশির ভাগ অংশ রাজশাহী জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। তখনকার দিনে এসব এলাকায় সরকারের দায়িত্বপূর্ণ কর্মচারীদের খুব অভাব ছিল। পুলিশের অযোগ্যতা এবং জমিদারদের পক্ষ থেকে ডাকাতি ঘটনার তথ্য গোপন রাখা বা এড়িয়ে যাওয়া হতো। গ্রামাঞ্চলে ডাকাতেরা দলে দলে ঘুরে বেড়াত। চলনবিল এলাকায় জলদস্যুদের উপদ্রব চলছিল দীর্ঘ দিন ধরে। এদের প্রতিরোধ করতে ও শাসনতান্ত্রিক সুবন্দোবস্তের জন্যে কোম্পানি সরকারের মন্তব্য অনুসারে পাবনায় সামগ্রিক ভাবে ১৮২৮ খ্রিষ্টাব্দে জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়। ১৮৩২ খ্রিষ্টাব্দে তা স্থায়ী রূপ লাভ করে এবং তাকে স্বতন্ত্র ডিপুটি কালেক্টর রুপে নিয়োগ করা হয়।
রাজশাহী জেলার ৫টি থানা ও যশোর জেলার ৩টি থানা নিয়ে সর্ব প্রথম পাবনা জেলা গঠিত হয়। সময় সময় এর এলাকা ও সীমানার পরিবর্তন ঘটেছে। ১৮২৮ খ্রিষ্টাব্দের ২১ নভেম্বর যশোরের খোকসা থানা পাবনা ভুক্ত করা হয়। অন্যান্য থানা গুলোর মধ্যে ছিল রাজশাহীর খেতুপাড়া, মথুরা, শাহজাদপুর, রায়গঞ্জ ও পাবনা। ‘যশোরের চারটি থানা ধরমপুর, মধুপুর, কুস্টিয়া ও পাংশা’। তখন পশ্চিম বাংলার মালদহ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ ডব্লিউ মিলস জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিযুক্ত হন পাবনায়। ১৮৩৭ খ্রিষ্টাব্দে সেশন জজের পদ সৃষ্টি হলে এ জেলা রাজশাহীর দায়রা জজের অধীনে যায়। ১৮৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ অক্টোবর জেলার পূর্ব সীমা নির্দিস্ট করা হয় যমুনা নদী। ১২ জানুয়ারি ১৮৫৫ খ্রিষ্টাব্দে সিরাজগঞ্জ থানাকে মোমেনশাহী জেলা থেকে কেটে নিয়ে ১৮৬৬ খ্রিষ্টাব্দে মহকুমায় উন্নীত করে পাবনা ভুক্ত করা হয়। নিযুক্ত করা হয় ডিপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। এর ২০ বছর পর রায়গঞ্জ থানা এ জেলায় সামিল হয়।
নীল বিদ্রোহ চলাকালে শান্তি শৃংখলার অবনতি হলে লর্ড ক্যানিং ১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে জেলায় একজন কালেক্টর নিযুক্ত করেন। এর আগে ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দে জেলা প্রশাসক হয়ে আসেন টি.ই. রেভেন্স। ১৮৬৯ খ্রিষ্টাব্দে সিরাজগঞ্জ ও ১৮৭৬ খ্রিষ্টাব্দে পাবনায় মিউনিসিপ্যালিটি গঠিত হয়। ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রবর্তিত হয় জেলা বোর্ড। যখন কোম্পানি শাসনের অবসান ঘটে তখন স্বভাবতই এ জেলা ১৮৫৮ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সম্রাজ্ঞী মহারাণী ডিক্টোরিয়ার শাসনাধীনে চলে যায়। ১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে পাংশা, খোকসা ও বালিয়াকান্দি এই তিনটি থানা নিয়ে পাবনার অধীনে কুমারখালী মহকুমা গঠন করা হয়। ১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দে কুষ্টিয়া থানা এ জেলা হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে নদীয়া জেলার অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৮৭১ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসে পাংশা থানা ফরিদপুর জেলার গোয়ালন্দ মহকুমায় এবং কুমারখালী থানা কুষ্টিয়া মহকুমার সাথে সংযুক্ত করা হয়। এ ভাবে এ জেলার দক্ষিণ সীমানা হয় পদ্মা নদী। ১৮৫৫ খ্রিষ্টাব্দে কুমারখালী থানা সৃষ্টি হলে তা ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দে পাবনার একটি মহকুমা হয়। ১৮৭১ খ্রিষ্টাব্দে মহকুমা অবলুপ্ত করে কুষ্টিয়া মহকুমার অংশ করা হয়। ১৮৭৯ তে জজ আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়। এর আগে কয়েকটি থানা বদলে যায়।
অবস্থান ও আয়তন
বাংলাদেশে অবস্থিত পাবনা জেলা রাজশাহী বিভাগের দক্ষিণ-পূর্ব কোণ সৃষ্টি করেছে। এটি ২৩°৪৮′ হতে ২৪°৪৭′ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°০২′ হতে ৮৯°৫০′ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এর উত্তরে নাটোর জেলা ও সিরাজগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে পদ্মা নদী, রাজবাড়ী জেলা ও কুষ্টিয়া জেলা, পূর্বে মানিকগঞ্জ জেলা ও যমুনা নদী, পশ্চিমে পদ্মা নদী, নাটোর জেলা ও কুষ্টিয়া জেলা। পাবনার আমিনপুর থানার দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে এসে পদ্মা ও যমুনা নদী পরস্পর মিলিত হয়েছে।
নদনদী
- পদ্মা
- যমুনা
- ইছামতি নদী
- আত্রাই নদী
- বড়াল নদী
- কাগেশ্বরী নদী
- গুড় নদী
- গুমানি নদী
- চিকনাই নদী
- বাদাই নদী
- হুরাসাগর নদী
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
পাবনা জেলা নিম্নলিখিত উপজেলায় বিভক্ত:
- আটঘরিয়া উপজেলা,
- ঈশ্বরদী উপজেলা,
- চাটমোহর উপজেলা,
- পাবনা সদর উপজেলা,
- ফরিদপুর উপজেলা,
- বেড়া উপজেলা,
- ভাঙ্গুড়া উপজেলা,
- সাঁথিয়া উপজেলা,
- সুজানগর উপজেলা,
জনসংখ্যা
মোট জনসংখ্যা ২৬,২৪,৬৮৪ জন ।
- পুরুষ ১৩,১৩,৭৭১,
- মহিলা ১৩,১০,৯১৩,
- মুসলিম ৯৫.১২%,
- হিন্দু ৪.৫০%,
- খ্রীষ্টান ০.২২%,
- অন্যান্য ০.১৬%।
সাধারণ তথ্যাবলী
- উপজেলার সংখ্যা- ৯টি
- থানার সংখ্যা- ১১টি ( ক. সুজানগর খ. সাথিঁয়া গ. পাবনা সদর ঘ. বেড়া ঙ. চাটমোহর চ. ভাঙ্গুড়া ছ. ঈশ্বরদী জ. ফরিদপুর ঝ. আটঘরিয়া ঞ. আতাইকুলা ট. আমিনপুর)
- পৌরসভার সংখ্যা- ০৯টি
- গ্রামের সংখ্যা- ১,৫৪৯টি
- ইউনিয়নের সংখ্যা- ৭৪টি
- মৌজার সংখ্যা- ১,৩২১ টি
- ডাকঘর- ১৪৫ টি
- ডাকবাংলো ও রেষ্ট হাউজ- ১৬ টি
- নদী বন্দর- ৩ টি (রূপপুর, নগরবাড়ী, নাজিরগঞ্জ)
- সর্বমোট প্রাথমিক বিদ্যালয়- ১১৩৬ টি
- স্টেডিয়াম- ০৩ টি
- সর্বমোট মাধ্যমিক বিদ্যালয়- ৩২৮ টি
- সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ঃ ৩ টি
- সরকারি কলেজ- ১১ টি
- বেসরকারি কলেজ- ৫০ টি
- হোমিওপ্যাথিক কলেজ- ১ টি
- কারিগরী কলেজ -২৯ টি
- সর্বমোট মাদ্রাসা- ২৬১ টি
- বেসরকারী স্কুল এন্ড কলেজ- ৩৩টি
- আইন কলেজ- ১ টি
- মেডিকেল কলেজ- ১টি
- ক্যাডেট কলেজ- ১ টি
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়- ১ টি
- কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট- ১ টি
- পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট- ১ টি
- টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট- ১ টি
- প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষক ইনস্টিটিউট- ১ টি
- ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট- ১ টি
- সেবিকা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র- ১ টি
নির্বাচনী এলাকা
- (৬৮) পাবনা-১(সাঁথিয়া উপজেলা-বেড়া উপজেলা আংশিক)
- (৬৯) পাবনা-২(আমিনপুর থানা-সুজানগর উপজেলা)
- (৭০) পাবনা-৩(চাটমোহর উপজেলা-ফরিদপুর উপজেলা-ভাঙ্গুড়া উপজেলা)
- (৭১) পাবনা-৪(ঈশ্বরদী উপজেলা-আটঘরিয়া উপজেলা)
- (৭২) পাবনা-৫(পাবনা সদর উপজেলা)
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ
- প্রমথ চৌধুরী- কবি ও সাহিত্যিক;
- বন্দে আলী মিয়া- কবি, ঔপন্যাসিক, শিশু-সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও চিত্রকর;
- আবু হেনা মোস্তফা কামাল- শিক্ষাবিদ, কবি এবং সাহিত্যিক;
- ডাঃ কামরুল ইসলাম, স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত চিকিৎসক
- এ. বি. মির্জ্জা মোঃ আজিজুল ইসলাম- প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ এবং শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞ
- রাসসুন্দরী দেবী- সাহিত্যিক;
- গিরিবালা দেবী- বাঙালি ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার;
- জিয়া হায়দার- লেখক, কবি, নাট্যকার, অনুবাদক, অধ্যাপক;
- আবদুল গনি হাজারী- কবি ও সাংবাদিক;
- সরদার জয়েনউদ্দীন- কথাসাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক, গল্পকার;
- নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী- ইতিহাসবিদ, লেখক ও ভারতবিদ;
- মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি;
- ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী- সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম;
- অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ- রাজনীতিবিদ, লেখক ও গবেষক;
- গোলাম হাসনায়েন- গণ পরিষদ সদস্য ও সংবিধান প্রনেতা;
- মোহিতমোহন মৈত্র- ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং বিপ্লবী;
- রাজেন্দ্র লাহিড়ী- ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব;
- আবদুল করিম খন্দকার- বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের উপ-প্রধান সেনাপতি;
- সাইফুল আজম- অবসরপ্রাপ্ত বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা;
- আমিনুল ইসলাম বাদশা- ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনের কর্মী।
- রফিকুল ইসলাম বকুল- রাজনীতিবিদ;
- মহিউদ্দিন আহমেদ- রাজনীতিবিদ;
- আবু মুহাম্মদ ইউনুস আলী- রাজনীতিবিদ;
- মির্জা আব্দুল হালিম- সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী, পাবনা জেলার প্রথম মন্ত্রী।
- শামসুল হক টুকু- সাবেক ডেপুটি স্পিকার, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও সাংসদ।
- আবদুল মমিন তালুকদার- রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, সাংসদ এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী।
- শামসুর রহমান শরীফ- সাবেক সাংসদ ও ভূমিমন্ত্রী।
- মির্জা আব্দুল আউয়াল- রাজনীতিবিদ, পূর্ব পাকিস্তান পরিষদের নির্বাচন ১৯৫৪ এমএলএ নির্বাচিত হন।
- মতিউর রহমান নিজামী- জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল ও আমীর, সাবেক কৃষি মন্ত্রী, যুদ্ধাপরাধ মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত।
- মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একান্ত সচিব।
- মোহাম্মদ ইসহাক- ইসলামি পণ্ডিত ও রাজনীতিবিদ৷
- মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী- একজনবাংলাদেশী চিকিৎসক এবং ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী।
- মোহাম্মদ আবদুল জব্বার- বাংলাদেশেজ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার অগ্রদূত।
- অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাসিবুর রশীদ- বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম উপাচার্য।
- অরুণ কুমার বসাক- পদার্থবিজ্ঞানী।
- সাইদা খানম- বাংলাদেশেরপ্রথম নারী আলোকচিত্রী।
- সুচিত্রা সেন- বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি।
- জাফর ইকবাল- মুক্তিযোদ্ধা, অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী।
- মাসুম আজিজ- একুশে পদক প্রাপ্ত ও জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেতা।
- চঞ্চল চৌধুরী- একজন বাংলাদেশী অভিনেতা, মডেল, শিক্ষক ও গায়ক ।
- বৃন্দাবন দাস- বাংলাদেশের জনপ্রিয় নাট্যকার, অভিনেতা ও লেখক।
- শাহানাজ খুশি- টেলিভিশন অভিনেত্রী ও মডেল।
- দারাশিকো- অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক।
- রওশন আরা- চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ।
- গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার- বাংলা আধুনিক ও চলচ্চিত্র সংগীতের গীতিকার ও সুরকার ।
- ফজল-এ-খোদা- গীতিকার, ছড়াকার ও পত্রিকা সম্পাদক।
- বারীণ মজুমদার- একজন বাংলাদেশি সঙ্গীত-অধ্যক্ষ, রাগসঙ্গীত বিশারদ ও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী।
- ইলা মজুমদার- একজন বাংলাদেশী শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী।
- জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র- কবি, গীতিকার ও গায়ক।
- রজনীকান্ত সেন- প্রখ্যাত কবি, গীতিকার এবং সুরকার।
- কামাল আহমেদ- গায়ক, প্রশাসক।
- বাপ্পা মজুমদার- জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী।
- পার্থ প্রতিম মজুমদার- বাংলাদেশী মূকাভিনয়শিল্পী।
- রেদওয়ান রনি- চলচ্চিত্র পরিচালক।
- তপন চৌধুরী- বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, ব্যবসায়ী এবং স্কয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
- অনুকূলচন্দ্র চক্রবর্তী- যিনিঠাকুর অনুকূলচন্দ্র নামেও পরিচিত। একজন বাঙালি ধর্মগুরু।
ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান
- পাবনা মানসিক হাসপাতাল
- জোড় বাংলা মন্দির
- তাড়াশ ভবন
- ভাঁড়ারা শাহী মসজিদ
- হার্ডিঞ্জ ব্রীজ
- লালন শাহ সেতু
- রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র
- ঈশ্বরদী বিমানবন্দর
- নর্থ বেঙ্গল পেপার মিলস
- পাবনা চিনিকল
- ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন
- ঈশ্বরদী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল
- আজিম চৌধুরীর জমিদার বাড়ি
- গাজনার বিল
- চলনবিল
- চাটমোহর শাহী মসজিদ
- শিতলাই জমিদার বাড়ি
- হান্ডিয়াল জগন্নাথ মন্দির
- চলনবিলের সূর্যাস্ত
- চন্দ্রনাথ সেনের জমিদার বাড়ি
- ক্ষেতুপাড়া জমিদার বাড়ি
অর্থনীতি
কৃষি প্রধান পাবনা জেলার অর্থনীতি বেশ সমৃদ্ধ। তাঁতশিল্প, হোসিয়ারি শিল্প, দুগ্ধজাত পণ্য এ জেলার ঐতিহ্যকে ধারণ করে। অর্থনৈতিক দিক থেকে ঈশ্বরদী উপজেলা বেশ সর্মদ্ধ । ঈশ্বরদীকে নিয়েই পাবনার অর্থনীতি গড়ে উঠেছে প্রচুর ছোটবড় শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠেছে। ধান, পাট, গম, পেঁয়াজ, সবজি, লিচু, আম, ঘি, চলনবিলের মাছ ইত্যাদি এ জেলার অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।
- পাবনা সরকারি চিনিকল
- স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল্স লিমিটেড,
- স্কয়ার ট্রয়লেটিজ লিমিটেড,
- স্কয়ার কনজুমার প্রডাক্ট লিমিটেড,
- ইউনিভার্সাল ফুড এন্ড বেভারেজ লিমিটেড,
- শাপলা প্লাস্টিক,
- আর আর পি ফিড মিল,ঈশ্বরদী,
- নিয়ন ফার্মা,
- রহিম আফরোজ গ্লোব্যাট লিমিটেড
- ঈশ্বরদী অটো রাইস মিল,
- উত্তরবঙ্গ কাগজকল
- রশিদ রাইস ব্রান ওয়েল,
- বেঙ্গল মিট,
- ঈশ্বরদী ইপিজেড,
- আকিজ জুট মিল,
- এ আর স্পেশালাইজড অটো রাইস মিলস
- এ আর সিমেন্ট মিলস
- প্রাণ এগ্রো ফুড লিঃ ঈশ্বরদী,
- আসলাম এগ্রো ফুড,
- এডরুক ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেড,
- মেসার্স জমজম ইন্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস,
- বেঙ্গল জুট মিলস
এছাড়া পাবনা শহরে বিসিক শিল্প নগরী রয়েছে; যেখানে যথেষ্ট সংখ্যক শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে ।
তথ্যসূত্র
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। “এক নজরে পাবনা”। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৯ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১৪।
- ↑“সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি”। ২৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৩।
- ↑“জেলাগুলোর শ্রেণি হালনাগাদ করেছে সরকার”। বাংলানিউজ২৪। ১৭ আগস্ট ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ ঝাঁপ দিন:কখ গ Samachar, পাবনা সমাচার :: Pabna। “নাম কেনো পাবনা, কি দেখবেন পাবনায়”। Sottapon Sirajganj (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০–১১–১০।
- ↑“সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি”। ১৬ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৮।
- ↑“সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি”। ২০ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৭।
- ↑রিপোর্টার, পাবনা থেকে স্টাফ। “প্র